চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২ পালিত‘

সাক্ষরতার ক্ষেত্রগুলো বাড়াতে হবেঝরেপড়া অবহেলিতদের নিয়ে আরো ভাবতে হবে’

আমাদের সাক্ষরতার ক্ষেত্রগুলো বৃদ্ধি করতে হবে। সাক্ষরতার সংজ্ঞা অনুসারে কোন কিছু পড়তে পারা, বোঝা, নিজের মত ব্যাখ্যা করা, লিখতে পারা, যোগাযোগ এবং গণনা করার দক্ষতাকে বুঝায়। মূলধারার বাইরে যারা বিভিন্নভাবে ঝরে পড়েছে, সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত তাদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, চট্টগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে এবং যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (জেএসইউএস) ও গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় আজ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক জনাব বদিউল আলম এ মন্তব্য করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মো: আবু রায়হান দোলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমরা শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলো একসাথে মিলে কাজ করছি এবং আগামীতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মো: আবু রায়হান দোলন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে সাক্ষরতার আন্দোলন শুরু হয়, তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষরতার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারই সুদক্ষ নেত্রীত্বে আমরা শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সচেষ্ট হব। তিনি উপস্থিত সকলকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বেতার টেলিভিশন উপস্থাপক দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জনাব জুলফিকার আমিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ঝরে পড়া, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাক্ষরতার আওতায় আনার জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও এবারের সাক্ষরতা দিবস বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দা ও কোভিড পরিস্থিতির কারনে সীমিত পরিসরে পালিত হচ্ছে। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা রিপন কুমার বড়–য়া, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীন পারভীন, পিটিআই এর সুপারইনডেন্ট জয়নাল আবেদীন, সরকারী মুসলিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মমতা চাকলাদার, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু কুমার শর্মাঅ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অপকার প্রধান নির্বাহী মো: ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, আলমগীর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মনিটরিং অফিসার জিয়া উদ্দীন সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত মানুষদের সাক্ষরতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৬৫ সালের ৮-১৯ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানে বিশ্ব সাক্ষরতা সম্মেলনে সাক্ষরতা দিবস পালন বিষয়ক আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালে প্রথম এইদিবসটিউদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে১৯৭২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবছর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে। সাক্ষরতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ইউনেস্কো কর্তৃক নির্ধারিত এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ঞৎধহংভড়ৎসরহম খরঃবৎধপু খবধৎহরহম ঝঢ়ধপবং, যার বাংলা ভাবান্তর হলো-সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার।